ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

টেলিটকের ৭শ সিমসহ নগরীতে ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার, আটক দুই

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি ::

নগরীতে একটি অপরাধী চক্রের কাছ থেকে সরকারি টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাতশর অধিক সচল সিম এবং অবৈধ ভিওআইপির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আছেন দুজন। চক্রটি দুই বছর ধরে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করে আসছিল। এদিকে, এত সিম কীভাবে অপরাধী চক্রের হাতে এল বা ব্যবহার হচ্ছে, তা নিয়ে কৌতূহল জেগেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ী জমির উদ্দিন লেইনের একটি ভবনের ২য় তলার একটি কক্ষ থেকে এসব ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে বিটিআরসি ও সদরঘাট থানা পুলিশের একটি টিম। অভিযানে বিটিআরসির পক্ষ থেকে প্রকৌশলী কামরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত ওই অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটক কোম্পানির ৭০৫টি সিম, ২৫৬ পোর্ট বিশিষ্ট ও ৯৪টি এন্টেনা সংযুক্ত তিনটি জিএসএম গেটওয়ে চ্যানেল বক্স, তিনটি রাউটার, দুটি ল্যাপটপ, ১টি আইপিএসসহ অন্যান্য সরঞ্জাম।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় আটক দুজন হলেন পশ্চিম মাদারবাড়ীর মৃত আব্দুল হাশেমের ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪০) ও মীরসরাই উপজেলার খুজ্জাতুল ইসলামের ছেলে বেলায়েত হোসেন (৩৪)। সদরঘাট থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) নেজাম উদ্দিন বলেন, আটক দুজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটিতে আরো তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রটি নগরীর বিভিন্ন স্থানে দুই বছর ধরে অবৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। কোনো এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা চালানোর পর পুলিশ কিংবা অন্য কারো কাছে তাদের বিষয়ে সন্দেহজনক পরিস্থিতি তৈরি হলে চক্রটি এলাকা বদলে ফেলে।
বিপুল পরিমাণ সিমসহ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় সিমের ব্যাপারেই এ ঘটনায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ এর ৩৫(২)/৫৫(৭) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করলে সবকিছু জানা যাবে বলে জানান তিনি।
সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ রহুল আমীন বলেন, যেসব সিম উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো সচল সিম। কারো না কারো আইডি ব্যবহার করে এসব সিম ব্যবহার করা হচ্ছিল। এখন এতগুলো সিম চক্রটির কাছে কীভাবে এল? কীভাবে সিমগুলোর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে? এ ব্যাপারে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।
তিনি জানান, ওই বাসায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধটিতে চালু হওয়া মেশিনটি দিয়ে বিদেশ থেকে দেশে আসা কল অবৈধভাবে রিসিভ করে বিভিন্ন জায়গায় ট্রান্সফার করত। সরকারকে ট্যাঙ ফাঁকি দিয়ে তারা এসব করছিল।

পাঠকের মতামত: